
নিউইয়র্ক
আমেরিকা, এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকা মহাদেশের উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোর পর বাংলা ট্যুরের ভ্রমণ সূচিতে যুক্ত হয়েছে দ্বীপ মহাদেশ অষ্ট্রেলিয়া। গত ১ জুন বাংলা ট্যুরের পর্যটক গ্রুপটি অষ্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ পূর্ব উপকুলে অবস্থিত দেশটির সবচেয়ে জনবহুল শহর সিডনীর উদ্দেশ্যে নিউজার্সির লিবার্টি বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। সিডনী ছাড়াও গ্রুপটি অষ্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরা এবং পাশ্ববর্তী দেশ নিউজিল্যান্ডের উল্লেখযোগ্য পর্যটক আকর্ষণ কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখে।
বাংলা ট্যুরের সিইও হাবিব রহমান জানান, সিডনীতে অবস্থানকালে গ্রুপটি পরিদর্শন করে বর্তমান সময়ে বিশ্বের কোটি কোটি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু সিডনী অপেরা হাউজ। উল্লেখ্য ১.৬২ হেক্টর জায়গা জুড়ে সিডনী বন্দরের বেনেলং পয়েন্টে নৌকার পাল আকৃতির সিডনী অপেরা হাউজটি নির্মানে ১০ হাজার শ্রমিকের সময় লাগে ১৪ বছর। বছরে প্রায় ৮০ লাখ পর্যটক এই অপেরা হাউজ পরিদর্শনে আসেন।
ভ্রমণসূচীর দ্বিতীয় দিনে গ্রুপটি ঘুরে আসে সিডনী থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্বের ব্লু মাউন্টেন থেকে। প্রাকৃতিক শোভা মন্ডিত এই স্থানটি সবুজে ঘেরা বিশাল নীলাভ পাহাড়, বিরল জাতের উঁচু উঁচু গাছ, জল প্রপাত,আর বিরল প্রজাতির প্রাণীর এক অনবদ্য মিলনস্থল। জায়গাটি ইউনেস্কো ঘোষিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের অন্তর্ভুক্ত। ৩য় দিনে গ্রুপটি যায় অষ্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায়। সেখানে গ্রুপটি অষ্ট্রেলিয়ান এয়ার মেমোরিয়াল, ক্যানবেরা পার্লামেন্ট হাউজ, ন্যাশনাল গ্যালারি অব অষ্ট্রেলিয়া, অষ্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল মিউজিয়াম ঘুরে দেখে।
৪র্থ দিনে গ্রুপটি যায় সিডনী থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দূরে উপকূলবর্তী শহর কফ হারবারে। গ্রুপটি সেখানকার ন্যাশনাল নেলসন বে’তে ডলফিন শিকার দেখা ছাড়াও সার্ফিং আর ডাইভিং এ অংশ নেয়।
৫ম দিবসের কর্মসূচীতে ছিলো টরোঙ্গা চিড়িয়াখানা পরিদর্শন। ৫২ একর জায়গা জুড়ে এই চিড়িয়াখানাতে ৩৪০ প্রজাতির প্রায় ৪ হাজার জন্তু জানোয়ার আর পশু প্রাণী রয়েছে। যার অন্যতম হচ্ছে ক্যাঙ্গারু।
অষ্ট্রেলিয়ার পর গ্রুপটির পরবর্তী গন্তব্য ছিল দ্বীপরাষ্ট্র নিউজিল্যান্ড। প্রথম দিন গ্রুপটি ঘুরে দেখে রাজধানী ওয়েলিংটনের বিভিন্ন আকর্ষণীয় পর্যটন স্থানগুলো। দ্বিতীয় দিন পরিদর্শন করে নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে বড় শহর অকল্যান্ড। সেখানে তারা মিউজিয়াম অব ট্যান্সপোর্ট এন্ড টেকনোলজি, বিখ্যাত স্কাই টাওয়ার পরিদর্শন শেষে মাটি থেকে ১৮৬ মিটার উঁচুতে রিভলিং রেষ্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করে। উল্লেখ্য, রেষ্টুরেন্টটির মেইন অবজারভেশন লেভেল থেকে অকল্যান্ডের ৮০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত দেখা যায়।
গ্রুপটি অকল্যান্ডে থাকাকালীন দেশটির অন্যান্য শহর যথাক্রমে ক্রাইষ্টচার্চ, ডুনেডিন এবং সাউথ আইল্যান্ডের শেষ সীমানার শহর ইনভার কারগিল ভ্রমণ করে।
অষ্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড ভ্রমণে ট্যুর গাইডের দ্বায়িত্ব পালন করবেন বাংলা ট্যুরের সিইও হাবিবুর রহমান। উল্লেখ্য নিউইয়র্কে অবস্থিত একমাত্র বাংলাদেশী গাইডেড ট্যুর প্রতিষ্ঠান বাংলা ট্যুর বিশ্বের ৫টি মহাদেশের ১০০টি শহরে নিয়মিত গাইডেড ট্যুর অপারেট করে। ভ্রমণে আগ্রহীরা ৩৪৭-২৮০-৭২৬৯ এই নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।